চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ , বেসরকারী চিকিৎসাকেন্দ্রে তুমুল বিক্ষোভ

11th April 2021 10:01 am বাঁকুড়া
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ , বেসরকারী চিকিৎসাকেন্দ্রে তুমুল বিক্ষোভ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দূর্ঘটনাগ্রস্ত এক রোগীর চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে একটি বেসরকারী হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরিষাদীঘির ঘটনা।

   ইন্দাস থানা এলাকার শাহাবাজপুর গ্রামের কল্যাণ কুমার ব্যানার্জী (৫৪) নামে মৃত ঐ ব্যক্তির পরিবারের তরফে দাবি, গত শনিবার একটি পথ দূর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ঐ ব্যক্তিকে কোতুলপুরের ঐ বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাঁটুতে আঘাত লাগার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অপারেশানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাঁচ দিন ভর্তি রাখার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে অপারেশন করার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সেই অপারেশানের পর পরিবারের লোকেদের না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে তড়িঘড়ি ঐ রোগীকে হুগলির আরামবাগের আরো একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের লোকেরা  আরামবাগের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে পৌঁছানোর পর তাদেরকে জানানো হয় রোগী মারা গেছে। যদিও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে  রোগী কোতুলপুরেই মারা গিয়েছিল। 

এই অবস্থায় তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানালেও ঐ দুই বেসরকারী হাসপাতাল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি অপারেশানের সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত না থাকা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা না করার কারণেই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে তারা দাবি করেন। এমনকি এই বেসরকারী হাসপাতালে এর আগেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় দোষী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা সরব হয়েছেন।

    যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাদের গাফিলতির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃতদেহ দাহ কার্যের জন্য কিছু টাকা দেওয়া যায় কিনা সেবিষয়ে তারা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।